indiaআমরা যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলি, তখন ভারতের দৃষ্টান্ত এসেই যায়। দেশটির রাজনীতি অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্রের যাত্রা থমকে দাঁড়ায়নি। আপন মহিমায় সেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশমান।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু পার্লামেন্ট। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের আমন্ত্রণে আমরা বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ১৬ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শন করি। ৮৬ বছর আগে নির্মিত ভবনটির বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ইতিহাসের মহানায়কদের ভাস্কর্য। এখানে মাথা উঁচিয়ে আছেন ব্রিটিশবিরোধী লড়াইয়ের পুরোধা মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, গোপালচন্দ্র গোখলে, বিআর আম্বেদকর, জওয়াহেরলাল নেহরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
আমরা জানি গান্ধীজি ও নেতাজীর মধ্যে নীতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের কৌশলগত দ্বন্দ্বের কথা। গান্ধী অহিংস পথে এগিয়েছেন, সুভাষ আজাদ হিন্দফৌজ গঠন করে সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। অহিংস আন্দোলন ও সশস্ত্র প্রতিরোধ দুই-ই উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ভারত দুই অধ্যায়কে সমুন্নত করেছে, ধারণ করেছে_ এটিই ভারতের বহুত্ববাদী সমাজ ও গণতন্ত্রের শক্তি।
ভারত মত ও পথে বিভাজিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছে_ এমন প্রমাণ অনেক। পার্লামেন্ট ভবনের সেন্টাল হলে অন্যদের সঙ্গে উদারনৈতিক রাজনীতিবিদ দাদাভাই নওরৌজির পাশাপাশি ধর্মাশ্রয়ী নেতা বালগঙ্গাধর তিলকের প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। তবে মত ও পথের বিভাজন সত্ত্বেও তারা সবাই স্বাধীনতা সংগ্রামী। বলা আবশ্যক, পার্লামেন্ট ভবনে কমরেড একে গোপালায়ন, কমরেড শ্রীপদ অমৃত ডাঙ্গের মূর্তিও শোভিত। সেন্টাল হলে আছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ও কবি-রাজনীতিবিদ সরোজিনী নাইডুর প্রতিকৃতি। লাইব্রেরি ও সেন্ট্রাল হলে স্বমহিমায় ভাস্কর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ভারতের শাসন-প্রশাসনে দীর্ঘ সময়জুড়ে ছিল নেহরু পরিবার। তাই সেন্ট্রাল হলে গেলে তার প্রমাণ মিলবে। সেখানে এই পরিবারের চার প্রজন্মের চার প্রতিনিধি। তারা হলেন_ মতিলাল নেহরু, জওয়াহেরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী। এ দৃশ্য দেখতে দেখতে বারবার মনে হয়েছে, আমরা কি মুক্তিযুদ্ধের সব নেতাকে স্বীকৃতি দিতে পেরেছি? এ প্রশ্ন থাক।
ভারতের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যের জনসংখ্যা আনুপাতিক সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কমিউনিটি থেকে দু\’জন এবং রাজ্যসভায় সাহিত্যিক-শিল্পী-বিজ্ঞানী-ক্রীড়াবিদ থেকে ১২ জন মনোনীত করেন। দুই মনোনীত সদস্য নিয়ে লোকসভায় বর্তমানে ৫৪৫ এবং ১২ মনোনীত সদস্য নিয়ে রাজ্যসভায় সদস্যসংখ্যা ২৪৫ জন। এটি ভারসাম্যপূর্ণ পার্লামেন্টারি পদ্ধতি। এখানে তড়িঘড়ি করে কোনো বিল পাসের সুযোগ নেই। সেখানে অর্থ ও সংবিধান সংশোধনী বিল ছাড়া অপরাপর বিল একটি কক্ষে অনুমোদিত হওয়ার পর অন্য কক্ষে আলোচনা-পর্যালোচনা ও অনুমোদন করতে হয়। কোনো দীর্ঘসূত্রতা বা জটিলতা নিরসনে দুই কক্ষের যুক্ত অধিবেশনের সুযোগ রয়েছে। এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
যুক্ত অধিবেশনে বরেণ্য ব্যক্তিদের ভাষণদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ইতিপূর্বে যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের মধ্যে আছেন, হীরালাল মুখার্জি ও নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন ও মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনীতিতে কখনও কখনও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, কিন্তু অব্যাহত থেকেছে উন্নয়নের ধারা। এর কৃতিত্ব অনেকাংশই প্রশাসনের প্রাপ্য। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতির ঊধর্ে্ব থেকেও দায়িত্ব পালন করছেন। যারা এনডিএর শাসনামলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, বর্তমান ইউপিএ সরকারের আমলেও মর্যাদার সঙ্গে কর্মরত। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে কেবল প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই নয়, শিক্ষক-সাংবাদিকসহ চিকিৎসক- প্রকৌশলীরাও রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজ ও প্রশাসনে। ভারতের পেশাজীবী সংগঠনগুলো এ ধরনের দলবাজির প্রভাবমুক্ত।
কেবল পার্লামেন্টারি কার্যক্রমে নয়, প্রশাসনেও ভারসাম্য ও সমন্বয়ের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এমন সমন্বয়ের চেষ্টা রয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলোরও। এতে অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। তবে আখেরে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ভারত বহু জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার দেশ। সেই সঙ্গে আছে জাতপাতের বিভক্তিও। আছে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। এ বাস্তবতায় ভারত রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র অনুসরণ করে আসছে। সর্বদাই ভারত তার ঘোষিত নীতিতে অটুট তা বলা যাবে না। ধর্মাশ্রয়ী ও সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের কতিপয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতাও ঘটেছে। তবে সেসব ঘটনার বিরুদ্ধে ভারতের গণমাধ্যম, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদসহ ব্যাপক জনগোষ্ঠী যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে তা বিস্ময়কর। এবার সফরে এসে ভারতের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে আমার বিশ্বাস জন্মেছে যে, মৌলবাদ-সুবিধাবাদকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা ভারতের জনগণের আছে। ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগও আছে। ব্যাঙ্গালুরে দেবী শেঠি হাসপাতালের সামনের প্রার্থনা ঘরটি আমাদেরকে আকৃষ্ট করেছে। একই ছাদের নিচে মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও প্যাগোডা রয়েছে_ সেখানে একই সঙ্গে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রার্থনারত। দলিতদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনের বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কেউ দলিত ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে দাম্পত্য জুটি বাঁধলে তাদেরকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো রাজ্যে চাকরির সুযোগও আছে।
সমাজতন্ত্র এখানে কল্যাণমুখী অর্থনীতি। খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। খাদ্য ও শিক্ষাকে অধিকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। খাদ্য ও শিক্ষা অধিকার আইনও প্রণীত হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতেও অভূতপূর্ব সাফল্য ঘটেছে। গরিব মানুষের জন্য কেবল সরকারি হাসপাতালই নয়, প্রাইভেট হাসপাতাল চিকিৎসা সহজলভ্য। এখানে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্র্যাকটিসের সুযোগ নেই। ভারতের প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অর্থের জন্য চিকিৎসা বন্ধ রেখেছে কিংবা অপারেশন থেকে বিরত থেকেছে_ এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছে একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভারতে এখন ১৫০০ জনের জন্য একজন ডাক্তার_ হাজারপ্রতি একজন চিকিৎসকের লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি লক্ষণীয়। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে একদা বামশাসিত কেরলা এবং বর্তমানে বামশাসিত ত্রিপুরা। এই রাজ্য দুটিতে প্রায় শতভাগই শিক্ষিত।
প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি ভারত যত্নশীল। বেশ ক\’বছরের ব্যবধানে দিলি্ল এসে যা প্রথম চোখে পড়ল সেটি হচ্ছে, দিলি্লতে সবুজের সমারোহ বেড়েছে। ঐতিহ্যবাহী শহরটি পরম যত্নে আগলে রেখেছে মোগল ও ব্রিটিশের স্থাপনাগুলো। এখানে হাইরাইজ ভবনের আধিক্য নেই। সবুজের ঘেরা বাড়িগুলো একতলা-দোতলা থেকে শুরু করে বড়জোর ছয়তলা-আটতলা। পরিকল্পনার ছাপ সর্বত্র। এ কথা সত্য ব্যাঙ্গালুরের ক্ষেত্রেও। যানজট চোখে পড়েনি দিলি্ল-ব্যাঙ্গালুরে-মহীশূরে। সে তুলনায় পিছিয়ে আছে কলকাতা। তবে যানজট কমেছে সেখানেও।
ভারত উন্নয়নশীল দেশ হলেও তার অর্থনীতির অবয়ব সুবিশাল। ক্রয়ক্ষমতার বিচারে ভারতের অবস্থান তৃতীয়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরই তার স্থান (সূত্র : আইএমএফ ২০১২)। দেশটিতে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে। গত ১৫ বছরে ভারতের জিডিপি ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে এসে দাঁড়িয়েছে ১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভারতীয় কোম্পানিগুলো ইউরোপ-আমেরিকাতেও বিনিয়োগ করছে। তবে বৃহৎ পুঁজির দাপটের মুখেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করছে। দিলি্লতে ন্যাশনাল স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ (এনএসআইসি) পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ইনকিউবেশন অব আনইম্পলয়েড ইউথ ফর সেটিং আপ নিউ স্মল এন্টারপ্রাইজেস) ঘুরে দেখে সব জেনে নিশ্চিত হলাম যে, সেখানে সরকার কেবল প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না, প্রশিক্ষণ শেষে নতুন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও ঋণ পাওয়াসহ নানা সহযোগিতাও করা হচ্ছে।
ভারতের অগ্রগতির বড় জায়গা তথ্যপ্রযুক্তি খাত। শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা এ ক্ষেত্রে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। ভারতের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে। গড়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তির বিরাট লোকবলও। ভারতের প্রবীণ-নবীন শিল্পপতিদের জনকল্যাণমুখী ভূমিকায় প্রশংসিত। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পরিবারের জন্য তো বটেই, এর বাইরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও পরিবেশ উন্নয়নে তারা ভূমিকা পালন করে আসছে। কয়েকজন উদ্যোক্তার সঙ্গে আমাদের কথা বলার সুযোগ ঘটেছে। তারা জানিয়েছেন, জনকল্যাণ তাদের কার্যক্রমেরই অংশ। উল্লেখ্য, ভারতের পরিসেবা খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমেও সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন সেবা খাতের উন্নয়ন ঘটছে।
ভারতের রাস্তায় কেবল নিজস্ব গাড়ি নয়, আকাশে নিজেদের তৈরি বিমান ও হেলিকপ্টার উড়ছে। বিদেশে আমদানিও করছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (এইচএএল) এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার তৈরি, মেরামতের ক্ষেত্রে সফল ও সুবৃহৎ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির বছরে আয় এখন দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
ভারত সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে মহাশূন্য অভিযানেও। মহাশূন্য স্বাপি্নক পুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের হাত ধরে ১৯৬৩ সালে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল প্রথম সাউন্ডিং রকেট। তারপর থেকে ভারত মহাশূন্য জয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭২ সালে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন গঠনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়। ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু করে ভারতের প্রথম নিরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট। ২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১ পাঠানোর মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট দেশগুলোর প্রথম কাতারে শামিল হয় ভারত। ভারত এখন টেলিযোগাযোগ, টেলি ব্রডকাস্ট, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সেই গর্বের স্ফুরণ দেখলাম ব্যাঙ্গালুরে \’আইএসআরও\’র বিজ্ঞানীদের চোখে-মুখে। প্রতিষ্ঠানটিতে নিক্ষিপ্ত রকেট স্যাটেলাইটের রিপ্লেকার পাশাপাশি দেয়ালজুড়ে রয়েছে বিক্রম সারাভাই, সতীশ দেওয়ান, ইউআর রাও, রাধাকৃষ্ণনসহ কৃতী বিজ্ঞানীদের প্রতিকৃতি।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ভারতে যতটা আকাশে মহাশূন্য এগিয়েছে, সেই তুলনায় কি এগিয়েছে সেখানকার মানুষের জীবনমান? এখনও ক্ষুধা-দারিদ্র্য, স্বাস্থ্যহীনতা, পশ্চাদপদতা আছে, আবার সাফল্যও আছে। রাজনীতিতে দেশপ্রেম আছে, সুবিধাবাদিতাও আছে। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বন্ধন আছে, আবার হানাহানিও আছে। সব \’নেতি\’ হটিয়ে \’ইতি\’র ধারা বেগবান করতে প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত ভারতের ১২৭ কোটি নরনারী। আমাদের বিশ্বাস, এই উদ্যমী মানুষই ভারতকে সামনের পানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।