দু’হাজার চৌদ্দ সাল- উপমহাদেশের রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় নির্বাচন। বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কী হবে, তা নিয়ে আমরা বিতর্ক করছি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বোধ করছি। কিন্তু ভারতে এমন বিতর্ক নেই, নির্বাচনকালে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিরোধী পক্ষ থেকেও বড় ধরনের কোনো সমালোচনা নেই। সেখানে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে- কারা ক্ষমতায় যাবে, তার চেয়ে বড় প্রশ্ন- কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?
নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) বিরুদ্ধে লড়বে বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির অনুকূলে হাওয়া। দলটি হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধারক। এর নেতৃত্বের চূড়ায় এখন কট্টরপন্থি নরেন্দ্র মোদি। ২০০২ সালে তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, তখন সংঘটিত হয়েছিল এক ভয়াবহ দাঙ্গা। কয়েক হাজার নর-নারী প্রাণ হারিয়েছিল, যার অধিকাংশ মুসলমান। এ দাঙ্গা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। উপরন্তু দাঙ্গা সংঘটনে, মুসলমানদের ওপর হামলার পেছনে তার ইন্ধন ছিল বলেও অভিযোগ আছে। সেই নরেন্দ্র মোদিকে এখন বিজেপির নির্বাচন বিষয়ক প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর বিজেপি জোট নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি নেতা অটলবিহারি বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদভানির যে উদার গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি ছিল মোদির তা নেই। তিনি প্রকাশ্যেই নিজেকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এতে আঁতকে উঠেছে ভারতের শান্তিকামী নর-নারী। সবার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে গুজরাটের সেই ভয়াবহ দাঙ্গার চিত্র। মোদির মন্তব্যের সমালোচনা করেছে ধর্মনিরপেক্ষ বাম দলগুলো। সোচ্চার হয়েছে নাগরিক সমাজ। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, \’গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচন বিষয়ক প্রধান নরেন্দ্র মোদিকে আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না।\’ ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, \’আমরা চাই না সংখ্যালঘুদের ওপর ২০০২ সালের ভয়াবহ পরিস্থিতি আবার ফিরে আসুক।\’ তিনি মনে করেন, ২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের মতো যথেষ্ট কিছু করেননি।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য আশার কথা, আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক বা মৌলবাদী নেতা-নেত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে দুর্ভাবনা রয়েছে। রাজনীতির হাওয়া যেদিকে ধাবমান, সেটি অব্যাহত থাকলে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী নেতাদের কারও কারও গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০০১-০৬ সালের বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেটি ছিল একাত্তরের বিজয়ী জাতির জন্য অবমাননাকর।
অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অঙ্গীকার সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ কতিপয় মৌলবাদী দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। ক্ষমতার রাজনীতিতে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের পাশাপাশি ধর্মাশ্রয়ী সাম্প্রদায়িক দল ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিলেন। জিয়ার এই ভ্রান্ত নীতির বিরুদ্ধে তখন সোচ্চার হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একাত্তরের পরিত্যক্ত যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোর প্রতি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ বলে দাবিদার আওয়ামী লীগ ও অন্য দলগুলোর সহ-অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী শরিক হয়। তখন বাম দলগুলোর আপত্তির মুখে ১৫ দল ও ৭ দলের এবং পরবর্তীকালে তিন জোট (৮ দল, ৭ দল ও ৫ দল) লিয়াজোঁ কমিটিতে জামায়াতকে অন্তর্ভুক্ত না করা হলেও বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দলটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছে। তখন শরিক জোটগুলোর মিছিলের সঙ্গে জামায়াতের মিছিলের সাক্ষাৎ হলে উভয় মিছিল থেকে হাততালি দিয়ে উল্লাস করতেও দেখা গেছে। আবার বিপরীত দৃশ্যও ছিল। এমন অবস্থায় ৮ দল বা ৭ দলের মিছিল থেকে স্লোগান উঠত_একাত্তরের হাতিয়ার/গর্জে উঠুক আরেকবার।
১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর সব নির্বাচনে \’ধর্মনিরপেক্ষ\’ আওয়ামী লীগ এবং \’অসাম্প্রদায়িক\’ বিএনপি বক্তৃতা ও স্লোগানে ধর্মের ব্যবহার করেছে। দোয়া-দরুদ পড়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন উভয় দলের নেতা-নেত্রীরা। আর বিএনপির নির্বাচনী বক্তৃতায় আরও নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেটি ভারতবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের পেছনে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের ভূমিকা রয়েছে। ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি শাসনামলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন করেছে। ক্ষুদ্র দলীয় রাজনীতির স্বার্থে আওয়ামী লীগ কট্টর ধর্মভিত্তিক দল খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ব্লাসফেমিসহ পাঁচ দফা চুক্তিও করেছিল। তবে পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ও ব্যাপক সমালোচনার মুখে চুক্তিটি বাতিল করে আওয়ামী লীগ।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দল হেফাজতে ইসলামের বর্তমান অবস্থানের পেছনেও ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর ভূমিকা আছে। দুই যুগের অধিক সময় ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার হিড়িক পড়ে গেছে। মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ২০ হাজার। প্রায় ৩০ লাখ ছাত্র এখানে পড়াশোনা করছে।
কোনো সরকারই কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কারসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব গ্রহণের তাগিদ বোধ করেনি। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক নেতারা কওমি মাদ্রাসায় অর্থ দিয়ে তাদের মন জয় করার প্রতিযোগিতা করেছে। ২০০৮ সালে জাতীয় নারীনীতি করার সময় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকরা হেফাজতে ইসলাম নামে আত্মপ্রকাশ করে। সমাজ প্রগতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের সাহায্য-সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। দুই পক্ষের সমর্থনের মধ্য দিয়ে তারা এখন উভয় জোটকে ইসলামী অনুশাসনে দেশ চালানোর হুকুম দিচ্ছে। এই বলে হুমকিও দিচ্ছে, এ হুকুম না শুনলে দেশে হেফাজতের শাসন চালু করবে।
হেফাজতকে সামনে এগিয়ে দিয়ে জামায়াত এখন পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। জামায়াতের সঙ্গে হেফাজতের মধ্যকার দীর্ঘদিনের যে দ্বন্দ্ব ছিল, তা এখন মিটমাট হয়ে গেছে। একযোগে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে তারা একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভণ্ডুল করতে চাইছে, অন্যদিকে ক্ষমতার হিস্যা পেতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। এটি আজ স্পষ্ট যে, জামায়াতের পরিকল্পনা ও মদদে মিথ্যা রটিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী রামুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং লুটপাট করেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ ঘৃণ্য কর্মে বিএনপির কর্মীরা শামিল হয়েছে। কোথাও কোথাও অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও।
জামায়াতের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের তরুণদের বিরুদ্ধে নাস্তিকতা ও ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানো হয়েছে। এমন সব মিথ্যা উগলে দিয়েছে দৈনিক পত্রিকা আমার দেশ, টিভি চ্যানেল দিগন্ত ও ইসলামী টিভি। মক্কায় কর্তৃপক্ষ কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করেছে_ সেই দৃশ্য দেখিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে এই বলে যে, মক্কাতেও সাঈদীর বিচারের প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। এ রকম অনেক মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমার দেশ। সাঈদীকে চাঁদে দেখার কথা ছড়িয়েছে স্বার্থান্বেষী মহল। এসবই ছিল জামায়াতের কারসাজি। আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জামায়াত একই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। বলা বাহুল্য, মাহমুদুর রহমান প্রকাশ্যে বিএনপি হলেও তলে তলে জামায়াতি।
ক্
ষমতার হিস্যা পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে বিএনপিই এখন জামায়াত ও হেফাজতের পছন্দের মঞ্চ। এই মঞ্চে জামায়াতের পাশাপাশি হেফাজতের অন্তর্ভুক্ত ৫টি ইসলামী দল ১৮ দলের শরিক। এর বাইরেও হেফাজতের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসাগুলোর আলেম-তালবে আলেমরা বিএনপির পেছনে শামিল হয়েছে। বিগত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে জান-পরান দিয়ে খেটেছে। বিএনপিও তাদের আগামী নির্বাচন অপরিহার্য মনে করে আধুনিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারীনীতি সম্পর্কিত তাদের উদ্ভট ও মধ্যযুগীয় বক্তব্যের ব্যাপারে মুখ খুলছে না। সমগ্র সচেতন সমাজ যখন হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর প্রগতিবিরোধী, নারীবিদ্বেষী ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, সংসদে মহাজোটের নারী সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তখন বিএনপি নারী সাংসদরা আহমদ শফীকে \’বুজুর্গ আলেম\’ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে তার পক্ষাবলম্বন করেছেন। আহমদ শফী নারীদের চার-পাঁচ ক্লাস পড়ে স্বামীর আসবাবপত্রের হেফাজত আর সন্তান লালন-পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। উচ্চশিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অনুচিত বলেছেন। অথচ চালচলনে আধুনিক নারী খালেদা জিয়া তা না শোনার ভান করছেন। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ও হেফাজতকে নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায়, এটি বিএনপির ঘোষিত রাজনীতির সঙ্গে কি আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ? ক্ষমতার জন্য কৌশল নেওয়া যায়, কিন্তু জাতির অস্তিত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে আপস করা যায় না। জানি বিএনপির নেতারা বলবেন, খালেদা জিয়া একাধিকবার বলেছেন তারাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান এবং ক্ষমতায় গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে ক্ষমতায় গিয়ে তা করা কি সম্ভব? মির্জা ফখরুল ইসলাম লন্ডনে বলেছেন, জামায়াত ও হেফাজতের প্রতিনিধিত্ব করে না বিএনপি। এ বক্তব্যের জন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গে হাত ধরাধরির নীতিকে নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
বিএনপি নেতাদের মুখে শুনেছি যে, তারা জামায়াত-হেফাজতের হাত ছাড়লে আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে হাত মেলাবে। সেটি হতে পারে কি-না সে বিতর্ক নিষ্প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে সমাধান হতে পারে_ বিএনপি জামায়াত-হেফাজতের হাত ছাড়বে, আর আওয়ামী লীগ ওয়াদা করবে, জামায়াত-হেফাজতের হাত ধরবে না।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের দল। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, মুক্তিযুদ্ধের এই বাংলাদেশকে তারা এগিয়ে নেবে। লাখো শহীদের রক্তে স্নাত বাংলাদেশে আর যুদ্ধাপরাধী প্রগতিবিরোধী হেফাজতকে নিয়ে টানাটানি করবে না। কোনো যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার ধারা অব্যাহত থাকবে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এ ধরনের স্বাধীনতাবিরোধীদের সরকারের কোনো নির্বাহী পদে, সামাজিক ও রাজনৈতিক পদে এবং সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনে কোথাও ঠাঁই হওয়া উচিত নয়। লাখো লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার স্বার্থে এসব উচ্চ পদে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে আসীন হতে না পারে_ সে জন্য আদালত রাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। আমরাও কোনো যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে আর জাতীয় পতাকা দেখতে চাই না। নির্বাচনকালীন সরকারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হওয়ার এখনই সময়।